আজ শনিবার, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লেগুনার স্টিয়ারিংয়ে শিশু, মারাত্মক ঝুঁকিতে যাত্রীরা

                              যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা

সজিব স্টাফ রিপোর্টারঃ রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার রূপসী, গন্ধবপুর ও বরপা থেকে ডেমরা হয়ে যাত্রাবাড়ী এই রুটের অধিকাংশ লেগুনার চালকের আসনে অদক্ষ-অনভিজ্ঞ শিশু-কিশোর। নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। নেই গাড়ির বৈধ কাগজপত্র। অথচ তারা কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর এসব অদক্ষ শিশু চালকদের কাছে অসহায় চলাচলরত যাত্রীরা ।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রূপগঞ্জের রূপসী, গন্ধবপুর ও বরপা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত লেগুনার আদলে যেসব মিনি পিকআপ ভ্যানগুলো চলাচল করছে তার অধিকাংশ চালকের বয়স ১৫ থেকে ১৮ এর মধ্যে। ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, ২০ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন না। সে হিসেবে তাদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অথচ তারা প্রতিদিন কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন না হয়ে দিব্যি এই রুটে গাড়ি চালাচ্ছেন। এসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক লেগুনা ড্রাইভারদের কারনেই কয়দিন পর পর দূর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন সময়ে এ সব চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও প্রভাবশালী রাজনীতিক নেতাদের সুপারিশে তারা মুক্ত হয়ে আবার ফিরে আসে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আট–দশ বছর বয়সে এসব শিশুরা প্রথমে লেগুনার কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ শুরু করে। এরপর তারা বিভিন্ন সময়ে চালকের কাছ থেকে গাড়ি চালানো একটু আধটু করে শিখার পর একপর্যায়ে হাত পাকা হয়ে গেলে  চালকের আসনে বসে পড়ে। আর পেশাদার ড্রাইভারদের চেয়ে অনেক কম টাকা দিয়ে শিশুদের দিয়ে গাড়ি চালানো যায় বলে গাড়ির মালিকরা শিশুদেরকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

আল-আমীন নামে এক লেগুনাযাত্রী বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কাজ করার সুবাদে প্রতিদিন লেগুনাতে চলাচল করতে হয়। অধিকাংশ লেগুনার চালক এবং কন্ডাক্টর হিসেবে শিশুদেরকেই দেখতে পাই । এসব শিশুরা গাড়ি খুব বেপরোয়াভাবে চালায়, যার ফলে গাড়িতে উঠতেই ভয় লাগে। এক কথায় জান হাতে নিয়ে চলতে হয়। কিছু করার নেই, চালক হিসেবে শিশুদের দেখার পরেও কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য নিরুপায় হয়ে এসব গাড়িতে উঠতে হয়।

যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই প্রশাসনের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এসব যানবাহনের নিবন্ধন ও চালকদের বৈধতা নিশ্চিত করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত উদ্যোগ নিলে এসব অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের কবল থেকে যাত্রীজীবন রক্ষা করা সম্ভব।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ